রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভাটারা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. ওবায়দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মিজানের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান মিজান রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সম্প্রতি অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রংধনু গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গ্রুপটির বিভিন্ন কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
এর আগেও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে রফিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানের ত্রাসের রাজত্ব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে।
দুই ভাইয়ের নানা অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের কথা উঠে আসে প্রতিবেদনগুলোতে। সেখানে বলা হয়, রফিক ও মিজানের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাদের হামলায় অন্তত দুই শ পরিবার ঘরছাড়া। মিজান ও রফিক শুধু জমি নয়, মাদরাসা, ঈদগাহ আর কবরস্থানও তাদের দখলদারির হাত থেকে রেহাই পায়নি।
মিজানের বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের মামলা:
২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক পরিবার অভিযোগ করে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নামমাত্র মূল্যে বসতভিটা বিক্রি না করার জেরে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই মিজানুর রহমানের নির্দেশে ওসমান গণি স্বাধীন নামে ৯ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনের বাবা শাহিনুর রহমান শাহীন, মা উম্মে হানি মুন্নী ও দাদা রেজাউল করিম। তারা নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ক্যাশিয়ার ছিলেন মিজান। এছাড়া বেনজীরের সম্পদ দেখভাল এবং অনৈতিক কাজের সহযোগীও ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বেনজীরের নামে তোলা বিভিন্ন চাঁদা মিজানের কাছে জমা হতো।
##