বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমি যাত্রা শুরু করেছে। শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে সব রকম আধুনিকতা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা ক্লাবটি এই একাডেমির মধ্য দিয়ে এবার আরেকটি স্বপ্ন পূরণের পথে পা বাড়াল।
বৃষ্টির মাঝেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা কিংসের অনুশীলন মাঠে হাজির হয় একঝাঁক শিশু-কিশোর। তাদের আগামীর তারকা বানানোই একাডেমির লক্ষ্য। কেউ বাবা আবার কেউবা মায়ের হাত ধরে আসেন বসুন্ধরা কিংসের স্বপ্নের একাডেমিতে নিজের ছাপ রাখতে।
বয়সভিত্তিকের তিন ক্যাটাগরিতে (৬-১১, ১১-১৫ ও ১৫-১৮ বছর) প্রায় ৭০ জনকে নিয়ে শুরু হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমির কার্যক্রম।
বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান বলেছেন, ‘আজকে আমাদের একাডেমির যাত্রা শুরু হলো। এই একাডেমি চালু করা আমাদের স্বপ্ন বলতে পারেন। যদিও এখনি পূর্ণাঙ্গ একাডেমি বলা যাবে না। তারপরও যাত্রা শুরু হলো। আমরা আশাবাদী, এখানে যারা অনুশীলন করবে তারা একসময় বসুন্ধরা কিংসের মূল দলেও সুযোগ পাবে। ’
সপ্তাহে তিন দিন দেওয়া হবে ফুটবল প্রশিক্ষণ। যদিও শুরুতে অনাবাসিক হলেও এক বছরের মধ্যে আবাসিক অনুশীলন শুরু করবে কিংস। ইমরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ে অনাবাসিক রেখেছি। যদিও আবাসিকের জন্য সাড়া বেশি ছিল। আমরা হয়তো ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে আবাসিকে যাব। ’
শুরুতে ভর্তি হতে একজনের জন্য খরচ করতে হচ্ছে দশ হাজার টাকা, মাসিক বেতন ছয় হাজার করে। তবে যারা প্রতিভাবান কিন্তু দরিদ্র পরিবারের তাদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়া হবে।
সারা দেশের বিভাগীয় আট শহরে ট্যালেন্ট হান্ট করে প্রতিভাবান খুদে ও কিশোর ফুটবলার খুঁজে বের করা হবে জানিয়েছেন ইমরুল। তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা নয়, আটটি বিভাগীয় শহরে ট্যালেন্ট হান্ট করব। সেখানে যদি প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাই তাহলে তাদেরকে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে আমাদের একাডেমিতে সুযোগ করে দেব। যখন আবাসিক ক্যাম্প শুরু হবে তখন তাদেরকে নিয়ে আসা হবে। ’
##