বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে ভয়াবহ অবস্থা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। আন্দোলনকে (জুলাই-আগস্ট) ভিন্ন দিকে নেওয়া হচ্ছে। এমন কিছু কাজ হচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র পুনর্গঠনে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের ৫৩ বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়নি। সব সময় যুদ্ধ, লড়াই, রক্ত ঝরানো হচ্ছে।
ফ্যাসিবাদ যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারে, সেই আশঙ্কা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন কতগুলো কাজ করছি, যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে।’
তরুণদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা দায়িত্বে এসেছেন। এ দায়িত্বকে দায়িত্বশীলভাবে পালন করতে হবে। জাতিকে সামনে রেখে পালন করতে হবে। এমন কোনো হঠকারী করব না যেন আবার অন্ধকারে চলে যাই।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন, তা ন্যূনতম করে সে ধরনের একটা রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য নির্বাচনে যাওয়া। অনেকে বলছেন নির্বাচনই তো গণতন্ত্র নয়। অবশ্যই তা নয়। কিন্তু তার জন্য তো একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
জাতি গঠনে কবি-লেখকদের বিভিন্ন সময়ে ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় সেই ভূমিকা সেভাবে দেখা যায়নি। ভয় ছিল, আতঙ্ক ছিল। যোগ্য মানুষেরা কথা বলতে পারেননি, লিখতে
লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গার কর্মকাণ্ডে দেশে একটা অশনিসংকেত দেখা যাচ্ছে। এ জন্য কবি-সাহিত্যিক-রাজনীতিক সবাইকে জাতীয় প্রশ্নে এক হতে হবে। কোনোভাবেই স্বৈরাচার প্রত্যাবর্তনের পথকে সুগম করা যাবে না। এ জন্য জনগণের ইচ্ছাকে মূল্য দিতে হবে। কিন্তু সেটা শুধু নির্বাচন নয়।
জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।