আমেরিকা প্রবাসী আতিফ মাহমুদ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটুক্তি ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবক সরকারের পাশাপাশি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এঘটনায় প্রবাসী আতিফ মাহমুদ’র নামে রংপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করা হয়েছে। রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন গাইবান্ধা পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শেখ রোহিত হাসান রিন্টু। রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ মামলাটি আমলে নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট শাম্মী আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামি আতিফ মাহমুদ গাইবান্ধা মাস্টারপাড়া পৌর এলাকার প্রয়াত চিকিৎসক দেলওয়ার হোসেনের ছেলে। সে বর্তমানে আমেরিকাযর বুয়েন্স রাজ্যে বসবাস করছেন।
এদিকে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে আসামি আতিফ মাহমুদ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে গুজব, আপত্তিকর মন্তব্য, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য প্রচার করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেষ্ঠ্য নেতা এবং দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিরুদ্ধেও বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন ওই আমেরিকান প্রবাসী। রোববার সশরীরে উপস্থিত হয়ে মামলা দায়েরের পর বাদী শেখ রোহিত হাসান রিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের প্রাচীনতম দল ও বৃহত্তম দল আওয়ামীলীগ। যে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখন সেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার সুনাম নষ্ট করার জন্য, তাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সেই নেত্রীর নামে কটাক্ষ করবে, অপপ্রচার চালাবে, তার ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব অতি শিগগিরই যেন এই আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়।