ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদি তথা ‘টাইগার’ পতৌদি ছিলেন পতৌদি সাম্রাজ্যের নবাব। তিনি মৃত্যুর পর তার স্থাবর – অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী হয়েছেন পতৌদি’র পুত্র বলিউড তারকা আলি খান। প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকার মালিক তিনি, যার সমস্তটাই পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। বর্তমানে পতৌদি প্যালেসের মালিক সাইফ নাকি প্রাসাদের খরচ বাঁচাতে চান! আর তার জন্য তিনি নাকি কী কাণ্ড করেছেন ? সম্প্রতি সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তার ছোট বোন সোহা আলি খান। একইসঙ্গে প্যালেসের কোন দায়িত্ব সামলান তার মা তথা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর ? তা নিয়েও জানিয়েছেন সোহা।
জানা গেছে, অমিতাভ বচ্চনের ‘জলসা’ হোক অথবা শাহরুখ খানের ‘মান্নাত’— বলি অভিনেতাদের আবাসনের মধ্যে দাম এবং বিলাসিতার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে সাইফ আলি খানের প্রাসাদ ‘পতৌদি প্যালেস’। একাধিক হিন্দি ছবি, ওয়েব সিরিজ এমনকী হলিউডের ছবির শুটিংও হয়েছে এই প্রাসাদে।কিন্তু এলাহি প্রসাদটি কখনও রং করায়নি খান পরিবার। ‘ছোট নবাব’ সাইফ খরচ বাঁচানোর জন্য ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করিয়েছেন, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তার বোন সোহা আলি খান।
একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সোহা বলেন, শর্মিলা ঠাকুর এখনও নিয়মিত প্রাসাদের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেখভাল করেন। প্রাসাদের দৈনিক কিংবা মাসিক কত খরচ হচ্ছে, তা শর্মিলার নজর এড়ায় না। এর সঙ্গে সোহা বলেন, আমরা পতৌদি প্যালেসের হোয়াইটওয়াশ করিয়েছি, রং নয়। কারণ সেটি অনেক কম খরচ সাপেক্ষ। এবং আমরা দীর্ঘদিন নতুন কিছু কিনিনি। সবই প্রাসাদের স্থাপত্য, যা সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কোনও কিছু ওখানে বস্তু হিসাবে নেই।
রিয়ানার গুরুগ্রাম জেলায় অবস্থিত পতৌদির প্রাসাদটি। স্থানীয়দের কাছে ইব্রাহিম কোঠি বলেও পরিচিত। ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত প্রাসাদটিতে রয়েছে ১৫০টি কক্ষ। টাইগার পতৌদি এবং শর্মিলা ঠাকুরের একমাত্র পুত্র সাইফ-ই পতৌদি পরিবারের শেষ নবাব। তিনি বাবা – মায়ের একমাত্র পুত্রসন্তান এবং নবাবদের একমাত্র উত্তরাধিকারী। উল্লেখ্য, তার দুই বোন সাবা এবং সোহা সম্পত্তির কিছুই পাননি। সাইফের পর সেই সম্পত্তি পাবেন না তার ছেলেমেয়েরা।
আসলে ১৯৬৮ সালে ভারত সরকারের ‘এনিমি ডিসপিউট অ্যাক্ট’ এর অধীনে চলে গিয়েছে পতৌদিদের সম্পত্তি। সেই আইন অনুসারে এই সম্পত্তির উপর কেউ অধিকার দাবি করতে পারবে না কিংবা উত্তরাধিকারী হতে পারে না। পতৌদি হাউসের ভিতরে থাকা সমস্ত বিলাসবহুল সম্পদ এই আইনের আওতায় আসে। আর সেই কারণেই সইফের দুই বোন কিংবা চার সন্তান কেউই এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারবেন না।