রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসেই রান পাহাড়ে চড়ে বসে স্বাগতিক পাকিস্তান। ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের এত রানের পড়েও লড়াই থেকে ছিটকে যায়নি সফরকারী বাংলাদেশ। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) চার ব্যাটারের ফিফটিতে টেস্টে ভালো ভাবেই টিকে রয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আজকের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকল মুশফিকুর রহিমের অনন্য মাইলফলক অর্জনের কারণে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তবে শুধু মাইলফলকই নয়, শেষ সেশনে তার এবং মুমিনুলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ইনিংসও প্রাণ ফিরে পায়।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে। মুশফিকের নেতৃত্বে দলের পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, এখনো স্বাগতিকদের চেয়ে ১৩২ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ইনিংস মূলত মুশফিক, লিটন দাস, মুমিনুল হকের ও সাদমান ইসলামের প্রায় শতকে ভিত্তি পেয়েছে টাইগারদের ইনিংস।
অবশ্য দিনের শুরুতে বাংলাদেশের ইনিংস কিছুটা টালমাটাল ছিল। ওপেনার জাকির হাসান (১২) এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (১৬) রানে দ্রুত আউট হয়ে দলকে ফলোঅন শঙ্কার মধ্যে ফেলে দেন।
তবে এমন অবস্থায় হাল ধরেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। দুজনেই ফিফটি পূর্ণ করে দলের ইনিংসকে মজবুত ভিত্তি দেন। সাদমানের ১৮৩ বলের ৯৩ রানের ইনিংস এবং মুমিনুলের ৭৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস দলকে প্রতিযোগিতায় ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হয়। তবে ফিফটির পরেই মুমিনুল আউট হলে এবং সাদমানও সেঞ্চুরি হাতছাড়া করে বিদায় নিলে বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়ে।
সাকিব আল হাসানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সাইম আইয়ুবের বলে ১৬ রান করে অযথা শট খেলতে গিয়ে আউট হন তিনি। তবে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে পরিস্থিতি সামাল দেন। মুশফিকের পর লিটনও ফিফটি তুলে নেন, যা বাংলাদেশকে ইনিংস ধরে রাখতে সহায়তা করে।
মুশফিকের দৃঢ় মনোবল ও লিটনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রান দ্রুতই বেড়েছে। দলের ব্যাটারদের মধ্যে চারজন ফিফটি করেছেন, যা প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে তাদের লড়াই করার ক্ষমতা দেখিয়েছে।