বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিএনপি দ্বারা আক্রান্ত-রক্তাক্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। এই নেককারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হাতিরঝিল সাংবাদিক ফোরাম।
হাতিরঝিল সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত এক জরুরি বৈঠকে আহবায়ক সায়েদুল ইসলাম বাদল ও সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন চিশতী বক্তৃতা রাখেন। তারা বলেন, রাজধানীতে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দুষ্কৃতকারী/বিএনপির এবং পুলিশের মধ্যকার সংঘর্ষে বিএনপি দ্বারা বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর)সারাদিন এই সংঘর্ষে ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অ্যাসাইমেন্ট কাভার করার সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছেন যারা :
নিউ এইজের আহমেদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন ও নিজস্ব প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ, দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক রাফসান জানি, আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল এবং তৌহিদুল ইসলাম তারেক, ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেকিন তারিন, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ,কালের কণ্ঠের সিনিয়র ফটোগ্রাফার শেখ হাসান ও স্টাফ ফটোগ্রাফার লুৎফর রহমান,ভোরের কাগজের দু্জন ফটো সাংবাদিক মো. মাসুদ পারভেজ আনিস ও নুরুজ্জামান শাহাদাৎ, একুশে টিভির রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শেখ নাছের ও ফ্রিল্যান্সার মারুফ।রাফসানের সঙ্গে থাকা কালবেলার জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক রাজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কাকরাইল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্য় চলাকালে ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলেন সাংবাদিক রাফসান জানি। পুলিশের ওপর হামলার এই ফুটেজ সংগ্রহকালে দুষ্কৃতকারীরা রাফসানের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় রাফসানের গলায় কালবেলার আইডিকার্ড ঝুলানো থাকলেও তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। হামলায় তার সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এছাড়া তার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস বলেন, আমি যাচ্ছিলাম রাজউকের সামনে, আরামবাগ মোড়ে টিএনটি কলেজের সামনে বিএনপি’র কর্মীদের দ্বারা লাঞ্চিত হতে হলো আমাকে । চর ঘুষির পর ক্যামেরা নিয়ে গেছে । আমার অপরাধ আওয়ামী লীগের পোস্টার ফেস্টুনে রাস্তার মাঝে আগুন দিয়েছে ওই ছবি তোলা । পরে একজনের সহযোগিতায় ক্যামেরা ফিরে পেলেও মেমোরি কার্ড নিয়ে গেছে । আমার মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার চেষ্টাও করেছে । একজন বৃদ্ধ লোকের সহযোগিতায় ওখান থেকে চলে আসতে পেরেছি । রক্ত ঝরেনি তবে শরীরে অনেক ব্যথা পেয়েছি ।আহত অনেকের অবস্থা গুরুতর।উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী ও তীব্র নিন্দা জানান হাতিরঝিল সাংবাদিক ফোরাম