যে পরিবহনে করে মানুষের মৃতদেহ টানা হয় সেই পরিবহনে করেই পাচার হচ্ছে মাদক। কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরে। গত ২২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, যশোর থেকে লাশবাহী একটি ফ্রিজার ভ্যানে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনসিডিল নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।
এই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল তাৎক্ষনিক ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন বদরপুর গ্রামস্থ মন্ত্রীর বাড়ীর সামনে একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। গাড়ি তল্লাশির একপর্যায় উক্ত মাদক পরিবহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটি চেক পোস্টের সামনে আসলে গাড়িটিকে সিগনাল দিয়ে থামায় র্যাব। গাড়ীর ড্রাইভার ও গাড়িতে বসে থাকা অপর ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা এবং যাওয়ার গন্তব্য সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বিভিন্ন ধরনের এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকে। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে র্যাব সদস্যরা চূড়ান্তভাবে জেরা করে।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা তাদের সঠিক নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তাদের ফ্রিজার ভ্যানে ফেনসিডিল আছে বলে স্বীকার করে। ডাবল কেবিনযুক্ত ফ্রিজার ভ্যানের মাঝের কেবিন থেকে তাদের নিজেদের হাতে বের করে দেওয়া হলুদ রংয়ের একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে রক্ষিত আনুমানিক ২,৮৮,০০০/-(দুই লক্ষ আটাশি হাজার) টাকা মূল্য মানের সর্বমোট ১৪৪ (একশত চুয়াল্লিশ) বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়।
এ সময় গাড়ির ড্রাইভার, (মাদক ব্যবসায়ী) মোঃ আব্দুল সবুর। (৪২) ও অপর ব্যবসায়ী মোঃ তহিদুল ইসলাম (৩৫) কে আটক করে র্যাব। সেই সাথে লাশবাহী গাড়িটি যব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ফ্রিজার ভ্যানে ফরিদপুর ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল তারা।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।