চট্টগ্রামের পটিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এক অসহায় পরিবারের বাড়ি ভাঙচুর, নির্মাণসামগ্রী লুট এবং মালিককে বেদরম মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ভোরে পৌরসদররের সূচক্রদন্ডি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমির খসরু বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ৪ জন সহ অজ্ঞাত আরো ১৫ থেকে ২০জনকে আসামী করে পটিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর দীর্ঘদিনের টিনের ঘর ভাংচুর করে অনুমান ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। টিনের ঘরে রক্ষিত প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ সময়ে ভূক্তভোগী ও তার মা হোসনে আরা বেগম তাদের বাধা প্রদান করতে গেলে তাকে বেদরম মারধর গুরতর জখম করে এবং মেরে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। পরবর্তিতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী আমির খসরু বলেন, আমার মা হোসনে আরা বেগমের কেনা জায়গা দখল নিতে ও দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু জামায়াত নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ইকবাল, ইদ্রিস, যুবরাজ সুমন ও দলীয় ক্যাডার বাহিনী এবং কিশোর গ্যাং নিয়ে পটিয়া থানার সন্নিকটে ফিল্মি স্টাইলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও নির্মাণসামাগ্রী লুটপাট করে তাকে প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করেন।
ঘটনার মূলহোতা জামায়াত নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী কখনো প্রকৌশলী, কখনো ডাক্তার, কখনো অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, কখনো হাইকোর্টের এডভোকেট, আবার কখনো প্রফেসর হিসেবে এসব ভূয়া পরিচয় দিয়ে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন ঘোরতর অপরাধ করে যাচ্ছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জলিল জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙচুর ও মালামাল লুটের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। আমি এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকতাদের অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি তদন্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।